সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: মরুভূমিতে গোলাপ ফোটানো যায় তা কাতারকে দেখে শিখতে হবে সকলকে। ঠিক গোলাফ ফুল নয়। এটি একটি মিউজিয়াম বা যাদুঘর। ২২তম ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে এই কাতারেই। তাকে সামনে রেখেই কাতার একের এক চোখ ধাঁধানো শিল্প বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে। কাতারের এই যাদুঘরটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যাশনাল রোজ মিউজিয়াম’। রোজ মিউজিয়াম তৈরি হতে সময় লাগে ১০ বছর। যদিও প্রজেক্টটি শেষ করার কথা ছিল সাত বছরে। যাদুঘরটি তৈরি করতে খরচ হয় ২৯৯৫ কোটি টাকা।
বর্তমানে কাতারের অন্যতম আকর্ষন এই যাদুঘরটি। ১৬৯ বছরের পুরাতন ইতিহাস এই যাদুঘরটিতে তুলে ধরা হয়েছে। যাদুঘরটির উদ্ধোধন করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। সঙ্গে ছিলেন কুয়েতি আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ। গত বুধবার একটি বর্ণাঢ্য অণুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাদুঘরটির উদ্ধোধন করা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে জণগনের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হয়।
যাদুঘরটিতে প্রবেশ করতে করতে পরিচয় হয়ে যাবে প্রায় ১১৪টি ভাস্কর্যের সঙ্গে। মনোরম দৃশ্য হিসেবে ৯০০ মিটার লম্বা একটি হ্রদ আছে এই রোজ মিউজিয়ামটিতে। দর্শকরা যখন যাদুঘরের মধ্যে হাটবে তখন তাঁর পায়ের নিচে থাকবে ১৯ শতকের ১৫ লক্ষ উপসাগরীয় মুক্তা খঁচিত কার্পেট। ২২০ সিট বিশিষ্ট অডিটরিয়ামে আছে ২টি রেস্তোরা ও একটি ক্যাফে। এই মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে কাতারের পুরানো কোরান শরিফ।
৫২০০০ বর্গমিটার যায়গা লেগেছে ন্যাশনাল রোজ মিউজিয়ামটির। বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে সিটি সেন্টারের রাস্তায় উঠলেই এই মিউজিয়াম চোখে পড়বে।
জাদুঘরটি তৈরি করেন ফ্রান্সের স্থপতি জেন নওভেল। জেন নওভেল টুইট করে বলেন, রোজ মিউজিয়াম কাতারের ইতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলছে।
শুনলে আশ্চর্য হবেন ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে কাতারের প্রতিবেশি দেশগুলি সন্ত্রাসের অভিযোগ করে। অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা কাতারকে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এই অভিযোগ করে। যদিও কাতার এমন অভিযোগ অস্বিকার করে।
আরও পড়ুন: ২০০০ লাক্সারি গাড়ি নিয়ে ফ্রান্সের উপকূলে ডুবে গেল কার্গো জাহাজ