সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: বিজ্ঞানীরা বলছেন যে আমাদের আত্মা শরীর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, যা শুনে আমাদের আশ্চর্য লাগতে পারে। এটি একটি সাধারণ পদ্ধতি। কিন্তু খুব কম লোকই অবগত আছেন এই ব্যাপারে। সবার সাথে এমন ঘটবে তার কিন্তু কোনো মানে নেই। কিন্তু সবাই এটা করতে পারেন।
আমরা যখন গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই, তখন শরীরের ভেতর অদ্ভুত কর্মকান্ড চলে। অনেকেই টের পাইনা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মানুষের ঘুম পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। ঘুমের পঞ্চম পর্যায়ে আমাদের সাথে এই ঘটনা ঘটে থাকে। ঘুমের প্রথম ভাগে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস অত্যন্ত দ্রুততার সাথে চলাচল করে। আবার ঘুমের অন্তিম পর্যায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস খুব ধীর হয়ে যায়। ঠিক এই সময়েই আমাদের শরীর আত্মা বেরিয়ে যায়। এই আত্মাটি তারপর পৃথিবীর যেকোনো স্থানে ভ্রমণ করতে পারে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
শুনে এটি গল্প মনে হতে পারে আপনাদের, কিন্তু আসলে এটি কোনো বানানো-গল্পগাঁথা নয়। কারণ মানবদেহের এই প্রক্রিয়াটির ওপর বিজ্ঞান সীলমোহর লাগিয়ে দিয়েছে। সুতরাং অবিশ্বাসের কিছু নেই। বিজ্ঞানের ভাষায় এই শারীরিক প্রক্রিয়াটিকে এস্ট্রাল প্রজেকশন বলা হয়ে থাকে।
এস্ট্রাল অভিক্ষেপ বা এস্ট্রাল প্রজেকশন কী? যখন আমরা গভীর ঘুমে ডুবে থাকি, তখন আমাদের আত্মা আমাদের শরীর থেকে বের হতে থাকে। আত্মা দেহ ছাড়ার পরে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ঘোরার মতো ক্ষমতা বা শক্তি রাখে। যাকে সূক্ষ্ম যাত্রা বলা হয়। সূক্ষ্ম যাত্রার কথা আমরা প্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্রেও পেয়ে থাকি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দিব্যজ্ঞানীরা এই সূক্ষ্ম যাত্রাকেই এস্ট্রল প্রজেকশন নাম দেন। যা ধ্যানের সাথে তুলনীয়।
Read More: বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূতের অস্তিত্ব খুঁজে ফেরা Vuter Golpo
Check Also
ভালো কাজ করলেই মিলবে খাবার, লাগবে না কোন টাকা
ভালো কাজ করলেই মিলবে খাবার, লাগবে না কোন টাকা কথাটা শুনতে অবাক করার মতো হলেও …