Home / বিবিধ / হজ যাত্রীদের লক্ষ লক্ষ পশুর মাংস যেভাবে বন্টন হয়

হজ যাত্রীদের লক্ষ লক্ষ পশুর মাংস যেভাবে বন্টন হয়

সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: এটি বিশ্বাস করা হয় যে, হজ মুসলমানদের একটি পবিত্র ধর্মীয় কাজ। প্রতিটি মুসলিমের অর্থনৈতিক সমর্থ্য থাকলে জীবনে একবার অন্তত হজ করা উচিত। কাবা শরীফ পরিক্রমা করা ছাড়াও আরও কিছু রীতি রেওয়াজের মধ্যে দিয়ে হজ সম্পন্ন হয়। কাবা শরীফ সৌদি আরবের বিখ্যাত শহর মক্কাতে অবস্থিত। এই কারণেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা মক্কাতে গিয়ে হজ সম্পন্ন করে থাকেন। হজ সম্পন্ন করতে কমপক্ষে পাঁচ দিন সময় লাগে।
হজ যাত্রীদের পশুর মাংস
এই পাঁচ দিনে হজ সম্বন্ধীয় ইসলামিক কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। যার মধ্যে একটি পশু কুরবানী করা বাধ্যতামূলক। তাই হজ একজন মুসলিমের তখনই সম্পন্ন হয় যখন ঈদ উজ জোহা-তে সে একটি পশু কুরবানী করে থাকেন।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে হজ যাত্রীদের সংখ্যা ছিল ২২ লক্ষ। সুতরাং এই পরিমাণ পশুও কুরবানী দেওয়া হয়। তাই সকলের মনে একটা প্রশ্ন জাগে এতো মাংস কি হয়?

ইসলামিক নিয়ম অনুসারে একটি কুরবানীর মাংসের মোট তিন ভাগের দুই ভাগ আত্মীয় স্বজন ও গরিব বা ভিক্ষুকদের ভেতর বন্টন করে দিতে হবে। আর অবশিষ্ট এক ভাগ মাংস যে কুরবানী দিচ্ছে তার থাকবে। কিন্তু একজন হাজী কি করে এতো মাংস খাবে। আবার সৌদি আরবে এতো পরিমাণে গরিব মানুষও নাই যে ২২ লক্ষ পশুর মাংস খেতে পারবে। কয়েক দশক আগে কুরবানীর মাংস সৌদি আরবে মাটির নিচে পুতে ফেলা হতো যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় তার জন্যে। কিন্তু এখন সৌদি আরবের সরকার হাজীদের কুরবানীর মাংস সুন্দরভাবে বন্টন করার জন্যে একটি নিয়ম তৈরি করেছে যাতে ওখানে দুর্গন্ধ না ছড়ায়। সৌদি সরকার এই মাংস গরিব মুসলিম দেশগুলিতে পাঠিয়ে দেয়। ২০১৭ সালে সব চাইতে বেশি সিরিয়াতে এই কুরবানীর মাংস দেওয়া হয়েছিল।
হজের কুরবানী
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ১৮ লাখ ৯৬ হাজার প্রাণীর মাংস ২৪ টি দেশে পাঠানো হয়েছিল। উল্লেখ থাকে যে, সৌদি সরকার ইউটিলাইজেশান অফ মিট ৩৬ বছর আগে চালু করেছে। যার ফলে গরিব মানুষদের মাঝে এই মাংস বন্টন করা হয়। সৌদি আরবে কুরবানী দেওয়ার জন্যে ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংক আছে। যেখান থেকে হাজীরা কুপন নিয়ে কুরবানি বুক করে থাকেন অথবা নিজেও পশু কিনে কুরবানী দিতে পারেন।

মক্কা থেকে ২৬ কিমি দুরে একটি কসাইখানার ব্যবস্থা করা আছে। যেখানে পশু অনুসারে টাকা দিতে হয়। যেমন উটের জন্যে বেশি টাকা ছাগলের জন্যে কম। কুরিয়ারের মাধ্যমে হাজিদের মাংস বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। কুরবানির সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা সৌদি সরকার করে থাকে। সৌদি সরকার বিভিন্ন কসাই খানাকে কুরবানির দায়িত্ব দিয়ে থাকে। কুরবানী হওয়ার পর প্রত্যেক হাজীর মোবাইলে মেসেজ চলে আসে যে, আপনার নামের কুরবানী সম্পন্ন হয়েছে।
Read More: পাকিস্তানে একটি চারচাকা গাড়ির চাইতে কুরবানী পশুর দাম বেশি ! পাকিস্তানি ক্রিকেটারের চুরি হলো কুরবানী

Check Also

ভালো কাজ

ভালো কাজ করলেই মিলবে খাবার, লাগবে না কোন টাকা

ভালো কাজ করলেই মিলবে খাবার, লাগবে না কোন টাকা কথাটা শুনতে অবাক করার মতো হলেও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *