সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের মরদেহ ইতিমধ্যেই হস্তান্তর শুরু হয়েছে।এখন পর্যন্ত ১৫ টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলায় সারা বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিউজিল্যান্ডের সংসদেও শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন ইতিমধ্যেই মুসলিমদের প্রশংসা করেছেন এবং তিনি আশ্বাস দেন যে হামলাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকের প্রতি বিশ্ব নেতাদেরকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। কারণ ফেসবুকের মাধ্যমেই জাতিবিদ্বেষ ও হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে এই ভিডিও দেখার ফলে।
শোকের ছায়া যেন কোন মতেই নিউজিল্যান্ডের আকাশ থেকে সরতে চাইছে না।এখনও নিউজিল্যান্ডের হাসপাতালের বাইরে স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে আকাশ ও বাতাস। এই হামলায় নিহত হয় ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকরাও। সোমবার নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাব পাস হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন বলেন, মুসলিমদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে সরকার। তিনি ওই শোক প্রস্তাবে বলেন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি দাউদ নবীকে। যিনি মসজিদের দরজা খুলেই হামলাকারীকে বলেছিলেন, আপনাকে স্বাগতম। দাউদ নবী বুঝতেই পারেননি ঠিক কি হতে চলেছে এরপর। জেসিন্ডা আরো বলেন, হামলাকারী নিজের কুখ্যাতি অর্জন করতে চেয়েছিল কিন্তু নিউজিল্যান্ডবাসী কোনও দিন এই হত্যাকারীর নামও মুখে উচ্চারণ করবে না। আমরা নিহতদের কথায় আলোচনা করবো। আমি কথা দিচ্ছি এই হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি সমস্ত মানুষকে সালাম জানিয়ে তার ভাষণ শুরু করেছিলেন। ভাষণ শেষ হওয়ার পরেই আন্তঃধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
এখনও গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নয় জন ব্যক্তি। যার মধ্যে চার বছরের একটি শিশু ও তার বাবা খুব মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সময় পার করছেন। তাদেরকে পাঠানো হয়েছে অকল্যান্ডের হাসপাতালে। শুধু নিউজিল্যান্ড নয় অস্ট্রেলিয়াতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মৃতদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করা হচ্ছে। এতে সামিল হয়েছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস ও মেলবোর্নের বাসিন্দারা। এছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হচ্ছে নিহতদেরকে।
আরও পড়ুন: এই দুই মহিলা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সন্তান জন্ম দেওয়া যায়