সবার খবর, স্পোর্টস ডেস্ক: টিম ইন্ডিয়া সাউথাম্পটনে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান দুরন্তভাবে শুরু করেছে। বিরাট ব্রিগেড দক্ষিণ আফ্রিকার দলকে অনায়াসে হারিয়ে দেয়। বুধবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয় উইকেটে জয়ী হয় ভারত।
যুবেন্দ্র চাহালের মারাত্মক বোলিং (৪/৫১) ছাড়াও রোহিত শর্মার দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে (১২২ রান) ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফিরতে দেয়নি। এখন বলা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে আফগানিস্তানের আগেই বিদায় নিতে চলেছে। কিন্তু সব কিছুকে পিছনে ফেলে মহেন্দ্র সিং ধোনির কিপিং গ্লাভস নিয়ে যত আলোচনা শুরু হয়েছে। ধোনির গ্লাভসে একটি চিহ্ন দেখা গেছে। সকলের মনে একটিই প্রশ্ন এটি আসলে কি?
ধোনির কিপিং গ্লাভসের এই প্রতিক চিহ্নটি আপনি চাইলেও ব্যবহার করতে পারবেন না। এই ব্যাজটি প্যারা কমান্ডোরা ব্যবহার করে থাকেন। যাকে ‘বলিদান ব্যাজ’ বলা হয়।
বলিদান ব্যাজ কি?
প্যারাশুট রেজিমেন্টের বিশেষ বাহিনীর নিজস্ব পৃথক ব্যাজ রয়েছে, যা ‘আত্মত্যাগ’ বা ‘বলিদান ব্যাজ’ নামে পরিচিত। এই ব্যাজটিতে ‘বলিদান’ শব্দটি দেবনাগরী স্ক্রিপ্টে লেখা হয়েছে। ব্যাজটি তৈরি করতে রূপোর ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ভারতীয় ক্রিকেটে কৃতিত্বের কারণে ২০১১ সালে টেরিটরিয়াল আর্মিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে ভূষিত করা হয়েছিল। কপিল দেবের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনি এই সম্মানে ভূষিত হন। ধোনিকে সম্মানসূচক এই পদ দেওয়া হয়েছিল কারণ তিনি একজন তরুণ আইকন এবং তিনি যুবকদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। ধোনি একজন প্রশিক্ষিত প্যারাট্রুপার। তিনি প্যারা বেসিক কোর্স করেছেন।
ধোনি ২০১৫ সালে প্যারাট্রুপার কোর্স করে ছিলেন। আগরার প্যারাট্রুপার ট্রেনিং স্কুলে (PTS) ভারতীয় বিমান বাহিনীর AN-32 বিমান থেকে পাঁচবার লাফ দেওয়ার পর তিনি প্যারা উইংস প্রতিক (Para Wings Insignia) বা চিহ্ন পরার যোগ্যতা অর্জন করেন।
উল্লেখ্য মহেন্দ্র সিং ধোনি প্রায় ১২৫০ ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। তার এক মিনিট পর মালপুরা ড্রপিং জোনে সুরক্ষিত ভাবেই মাটিতে নেমে আসেন। নভেম্বর ২০১১ সালে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে (TA) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল পদে ভূষিত হওয়ার পর ধোনি বলেছিলেন, আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভাগ্য আমাকে ক্রিকেটার বানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: তামিম ইকবালের সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ একাদশে ভারতের জয়জয়াকার