Breaking News
Home / খেলার খবর / এই কারনে হারতে হলো ভারতকে, যারা এই হারের পিছনে দায়ি

এই কারনে হারতে হলো ভারতকে, যারা এই হারের পিছনে দায়ি

রনির কলাম: ২০১৯ আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপে ভারতের বীজয় রথ থামিয়ে দিল ইংল্যান্ড। ৩৩৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫০ ওভারে ৩০৬ রানে থেমে যায় কোহলি ব্রিগেড। ফলে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৩১ রানে পরাজিত হয়। ম্যাচে হারের জন্য যদি কেউ দায়ি হয় তবে তা টপ অর্ডার ব্যাটিং পারফরম্যান্স ও স্পিনারদের দুর্বল বোলিং। প্রথমত, ভারতীয় স্পিনাররা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল। দ্বীতিয়ত, ভারতের টপ অর্ডার স্কোরবোর্ড মন্থর করে দেয়।

প্রথম ২০ ওভারেই ম্যাচ হেরে যায় ভারতীয় ক্রিকেট দল

টসে হারার পর বোলিং করতে গিয়ে জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করে বসে চাহাল ও কুলদিপ। যদিও প্রথম চার-পাঁচ ওভার বেয়ারস্টো ও রয় ঠিক মত খেলতে পারছিলেন না সামি ও বুমরাহকে। পরবর্তীতে চাহাল ও কুলদিপ বল করতে আসার পর থেকেই শুরু হয় চার, ছয়ের বন্যা। অপরদিকে ভারত ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় কেএল রাহুলের। শূন্য রানে আউট হোন তিনি। রাহুলের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেল। রাহুল আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে আসেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিরাট ও রোহিত যদিও ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তবুও তারা উইকেটে সেট হতে গিয়ে অনেক বল নষ্ট করে ফেলেন।
কুলদিপ যাদব
প্রথম ২০ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১৪৫ বিনা উইকেটে। অপরদিকে ভারতের রান ২০ ওভার শেষে ৮৩ এক উইকেটের বিনিময়ে। ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ৮ টি ছক্কা মারে, যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট দল সম্পূর্ণ ৫০ ওভারে মাত্র ১ টি ছক্কা মারতে সক্ষম হয়। সেই ছক্কাটি আসে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাট থেকে। যদিও তখন ম্যাচটি অলিখিতভাবে ইংল্যান্ড জিতেই নিয়েছিল। শেষ ১০ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১০৪ রান। হাতে রয়েছে সাতটি উইকেট। সকলে ভেবেছিলেন টি-২০ যুগে এই রান হয়তো অনায়াসে করে ফেলবে বিশ্বের এক নম্বর ফিনিশার ধোনি। কিন্তু ধোনি যে তার সেরা সময় পার করে এসেছেন তা হয়তো বুঝতে পারেনি অনেকেই। কেদার যাদবের ব্যাট থেকে আসলো ১২ রান ১৩ বল খেলে। স্লগ ওভারের মত করে ব্যাট করতে চুড়ান্ত ব্যার্থ কেদার।
যুবেন্দ্র চাহাল

ভারতীয় স্পিনাররা আত্মসমর্পণ করলো ইংল্যান্ডের কাছে

জসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সামি ইনিংসের প্রথম চার ওভার অসাধারণ বল করেছিলেন। যদিও তারা রয় এবং বেয়ারস্টোকে আউট করতে পারেননি। কারন ভাগ্য সেদিন ইংল্যান্ডের হয়ে কথা বলছিল। কিন্তু যুবেন্দ্র চাহাল ও কুলদিপ যাদবের দুর্বল বোলিং ভারতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। চাহাল ১০ ওভার বল করে বিনা উইকেটে ৮৮ রান দেন। আর এক স্পিনার কুলদিপ যাদব ১০ ওভারে ৭২ রান দিয়ে এক উইকেট পান। বেয়ারস্টো ও জেসন রয় ভারতীয় বোলারদেরকে ঠিকমত বলই ফেলতে দিলেন না। বেয়ারস্টো ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১১১ রান করেন। জেসন রয় ৫৭ বলে ৬৬ রান করে আউট হন। তিনি ২টি ছক্কা হাকান। যদিও ওপেনার জুটি প্যাভিলয়নে ফেরত যাওয়ার পর রানের গতি কিছুটা দুর্বল হয়। শেষের দিকে বেন স্টোক আবার ব্যাটে ঝড় তোলেন। তিনি ৫৪ বলে ৩টি ছয় ও ৬টি চারের সাহায্যে ৭৯ রান করেন। মোহাম্মদ সামি ৫টি উইকেট তুলে নেন। সামি উইকেট না নিলে হয়তো ইংল্যান্ডের রান ৪০০ কাছাকাছি থাকতো। অপরদিকে আর এক ফাস্ট বোলার জসপ্রীত বুমারাহ অসাধারণ বল করেন। তিনি ১০ ওভার বল করে ৪৪ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন। ১১তম ওভারের পাঁচ নম্বর বলে জেসন রয়কে আউট করার সুন্দর সুযোগ তৈরি করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ধোনির কারনেই বিরাট সেটি ডিআরএস নেননি। আল্ট্রাএজে দেখা যায় হার্দিক পান্ডিয়ার বল জেসন রয়ের ব্যাটে লেগে ধোনির গ্লাভসে জমা পড়ে। জেসন রয় তখন ৩১ রানে ব্যাট করছিলেন। সব মিলিয়ে বলা যায় ধোনির দিনটি খারাপ ছিল।

আরও পড়ুন: উইকেট নেওয়ার পর শেলডন কট্রেল স্যালুট করেন কেন?

Check Also

রবি

বিরাট কোহলিদের হারের কারণে ছাটাই হতে পারেন শচীন, সৌরভ, লক্ষণ

সবার খবর, স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পরাজিত হওয়ার পরে দলের কোচিং স্টাফদের নিয়ে …